জীবনকে সমৃদ্ধ করে ‘সংস্কৃতি’

প্রকাশঃ মে ২১, ২০১৫ সময়ঃ ১০:০৮ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৪:২৮ অপরাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:

শামসুজ্জামান খানশামসুজ্জামান খান। খ্যাতিমান লেখক, গবেষক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। বিশিষ্ট ফোকলোরবিদ হিসেবে দেশ-বিদেশে তাঁর পরিচিতি। বাংলাদেশের ফোকলোর চর্চাকে তিনি একটা উন্নত জায়গায় নিয়ে গেছেন। শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে তাঁর কর্মজীবনের শুরু। মুন্সীগঞ্জের হরগঙ্গা কলেজ, তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ ও ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন। বর্তমানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত। এর আগে জাতীয় শিল্পকলা একাডেমি ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর প্রকাশিত বইগুলোর মধ্যে রয়েছে গ্রামবাংলার রঙ্গগল্প, বুদ্ধিজীবী ও রাষ্ট্র পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ, ভাষা আন্দোলনের শহীদেরা, আধুনিক ফোকলোর চিন্তা, দৈত্য নাপিতের গল্প, সেনেগাল লিওপোল্ড সেঙ্ঘেরের আফ্রিকার কবিতা ইত্যাদি। এই সাক্ষাৎকারে তিনি ফোকলোর, বাঙালি ও বাঙালি সংস্কৃতি, জঙ্গিবাদ, শিক্ষা, হে উৎসবের নানা দিক, বাংলা একাডেমির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কথাসাহিত্যিক স্বকৃত নোমান

মানিকগঞ্জ লোকসংস্কৃতির জন্য উর্বর জায়গা। ছেলেবেলায় এসব বিষয় আপনাকে কতটা টানত?

শামসুজ্জামান খান : হ্যাঁ, খুব টানত। আমাদের এলাকার ভাওয়াল যাত্রা, আমিনা যাত্রা, আলাল-দুলাল, গুনাইযাত্রা, রামযাত্রা, কৃষ্ণলীলা এগুলো ছেলেবেলাতেই দেখেছি। এসবের একটা প্রভাব আমার ওপর পড়েছিল। কিন্তু তখন সেটা উপলব্ধি করিনি। উপলব্ধি করেছি আমাকে সাহিত্য করতে হবে এলিটিস্ট সাহিত্য।

এলিটিস সাহিত্য করার পেছনে উদ্বুদ্ধ হওয়ার কারণ?

শামসুজ্জামান খান : ওই যে বললাম খলিলুর রহমান স্যার, রোকাইয়া ম্যাডামদের প্রভাব। জালালুদ্দিন নামের একজন সিনিয়র ছাত্র ছিল, তিনিও লিখতেন, তাঁর প্রভাব। কলেজে অজিতবাবু, হাসান হাফিজুর রহমান, আলাউদ্দিন আল আজাদ এঁদের মতো শিক্ষক পেয়েছি। এঁরা বিখ্যাত সাহিত্যিক। ‘সমকাল’ বের করছেন হাসান হাফিজুর রহমান, সিকান্দর আবু জাফরের সঙ্গে। এঁরা আমাকে দারুণভাবে উদ্বুদ্ধ করলেন। হাসান স্যার ‘সমকালে’র এডিটরিয়াল নিয়ে আসতেন, পড়ে শোনাতেন আমাদের। তাঁর বাড়িতে আমরা প্রায়ই যেতাম। এসব প্রভাব কাজ করেছে।

তখনো কি আপনি লিখতেন?

শামসুজ্জামান খান : হ্যাঁ, লিখতাম। আমাদের পাশের গ্রাম পারিল বলধারায় ভাষাসৈনিক রফিকের বাড়ি। সে যখন মারা গেল, তখন আমরা মিছিল-মিটিং করেছি স্কুলে। ‘নুরুল আমিনের কল্লা চাই/রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগান দিয়ে সারা থানা ঘুরে বেড়িয়েছি। এর প্রভাব নিয়ে স্কুলজীবনে লিখলাম ‘লাল শার্ট’ নামের একটা গল্প। ছাপা হলো ‘মুকুলের মহফিলে’, ১৯৫৭ সালে। তখন আমি কলেজে ভর্তি হয়েছি। আমি তখন মুকুলের মহফিলে লিখি, ইত্তেফাকের কচিকাঁচার আসর, মিল্লাতের কিশোর দুনিয়া, আলাপনী পত্রিকা—এসব পত্রিকায় লিখি। আগে শিশুদের আসরগুলোতে শিশুতোষ গল্প-কবিতা লিখতাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পরে ঝোঁকটা এসে গেল প্রবন্ধের দিকে। এর কারণ হয়তো আনিসুজ্জামান, মুনীর চৌধুরী, অজিত বাবুদের প্রভাব। সবাই গদ্যের লোক। তাঁরা সাহিত্যের যেভাবে বিশ্লেষণ করেন, সেটা আমাকে হয়তো বিশেষভাবে উদ্বুদ্ধ করে গদ্যের প্রতি।

Shamsuzzaman-(2)কর্মজীবন শুরু হলো কবে থেকে, কোথায়?

শামসুজ্জামান খান : এমএ পাস করার আগেই মুন্সীগঞ্জের হরগঙ্গা কলেজে চাকরি হয়ে গেল আমার। তখন চাকরি পাওয়াটা অত কঠিন ছিল না। কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন আজিমুদ্দিন সাহেব, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের বাবা। ’৬৪ সালে আমি ওই কলেজে মাত্র চার মাস চাকরি করি। একদিন দুপুরবেলা টিচার্স কোয়ার্টারে খেতে বসেছি, পিয়ন এসে বলল, ঢাকা থেকে আমার ফোন এসেছে, অধ্যাপক অজিত কুমার গুহ আপনার সঙ্গে কথা বলবেন। আমি দৌড়ে এলাম। স্যার বললেন, ‘জামান শোন, তুমি কি আজ রাতেই জগন্নাথ কলেজে শিক্ষক হিসেবে জয়েন্ট করতে পারবে?’ আমি তো অবাক! বললাম, ‘স্যার, আপনি বললে কেন পারব না?’

অজিত স্যারের কথাটা আমি আমাদের প্রিন্সিপাল সাহেবকে জানালাম। তিনি নিয়মমাফিক কথা বললেন যে, ঠিক আছে আপনি যাবেন, আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু নিয়ম আছে আপনাকে এক মাসের নোটিশ দিতে হবে। এক মাসের নোটিশ দিয়ে তার পর যান। প্রিন্সিপালের কথাটি আমি অজিত স্যারকে জানালাম। স্যার সম্মত হলেন। সুতরাং একটি মাস দুই কলেজে শিক্ষকতা করতে হলো। দিনে হরগঙ্গা কলেজে ক্লাস করাই, রাতে জগন্নাথ কলেজে। মুন্সীগঞ্জ থেকে তখন লঞ্চে দেড় ঘণ্টা লাগত ঢাকায় আসতে। মুন্সীগঞ্জে কাজ করি সারা দিন, বিকেল সাড়ে ৪টায় লঞ্চে করে ঢাকায় আসি। সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৯টা-১০টা পর্যন্ত ক্লাস করাই। রাতে ঢাকা শহরে ঘুমিয়ে সকালে আবার মুন্সীগঞ্জে চলে যাই। এভাবে এক মাস চলল। তখন হরগঙ্গা কলেজে আমার বেতন ছিল ২৯৬ টাকা, জগন্নাথে ৫৯০ কি ৫৯৪ টাকা।

জগন্নাথ কলেজে তো তখন শওকত আলী, আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের মতো বিখ্যাত লেখকরা শিক্ষক ছিলেন? তাঁদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন ছিল?

শামসুজ্জামান খান : হ্যাঁ, জগন্নাথে এসে আরেক অভিজ্ঞতা। আমার যাঁরা শিক্ষক ছিলেন, তাঁরা এখন আমার কলিগ হলেন। অজিত স্যার তো আছেনই। তিনি নানা বিষয়ে আলাপ করেন আমাদের সঙ্গে। আমি অভিভূত হয়ে শুনি। তখন আলাউদ্দিন আল আজাদ নেই, কাদের সাহেবও নেই। হাসান হাফিজুর রহমান আছেন। আমার যোগ দেওয়ার আগে শওকত আলী সাহেব যোগ দিলেন। এ ছাড়া আছেন মীর্জা হারুনুর রশীদ সাহেব। আমি যোগ দেওয়ার পরে হায়াৎ মামুদ, মাহবুব তালুকদার, সৈয়দ আবদুল হাদী, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস শিক্ষক হিসেবে যোগ দিলেন।

আখতারুজ্জামান ইলিয়াস তো বয়সে আপনার জুনিয়র ছিলেন?

শামসুজ্জামান খান : হ্যাঁ, জুনিয়র। তখন তো সে অত বিখ্যাত হয়নি। আমরা তখন কলেজের ব্যাচেলর কোয়ার্টারে থাকতাম একসঙ্গে। সে পাশ্চাত্য সাহিত্য পড়ত মনোযোগ দিয়ে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের বই পড়ত এবং মজার ব্যাপার হচ্ছে, (হাসতে হাসতে) বাজারে কিছু পর্নোগ্রাফির বই পাওয়া যেত, এগুলো ইলিয়াসের খুব আগ্রহের বিষয় ছিল। পরে ইলিয়াস পুরান ঢাকায় থাকতে শুরু করল, আমি নতুন ঢাকায় থাকি। পুরান ঢাকায় থেকে তার লাভ হয়েছে বটে। সেখানকার জীবনযাত্রা, মানুষের ভাষা, কথা বলার ভঙ্গি এগুলো ইলিয়াসকে অনেক আকৃষ্ট করেছিল।

আপনি তো ছাত্রজীবনেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন?

শামসুজ্জামান খান : আমি যখন জগন্নাথ কলেজের ছাত্র, তখন প্রথম ছাত্রলীগে যোগ দিই। আমাদের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির বাবা আবদুল ওয়াদুদ ‘ইত্তেফাক’-এর ম্যানেজার ছিলেন। তিনি আমাকে ছাত্রলীগে যোগ দেওয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেন। এর আগে আমি রাজনীতি না করলেও রাজনীতিসচেতন ছিলাম। ভাষা আন্দোলনের মিছিল-মিটিং করেছি। রাজনীতি বিষয়ে স্কুলের নানা বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতাম। তখন আমরা শেরেবাংলার ভক্ত। জগন্নাথ কলেজে আসার পর রাজনীতিতে ঢুকে গেলাম। মনে আছে, তখন একটা ভুখা মিছিল হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। মিছিলটা মুহসীন হল থেকে বেরিয়ে চকবাজার পর্যন্ত গেল। সেখানে গুলি বর্ষিত হলো। জগন্নাথ কলেজের ইকবাল নামের এক ছাত্র আহত হলো। ঢাকা মেডিকেল কলেজে আমি তাকে দেখতে গেলাম। ততদিনে আমি ঘোরতরভাবে রাজনীতিতে সক্রিয়।

তখন বঙ্গবন্ধুকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিল?

শামসুজ্জামান খান : পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধু যখন মন্ত্রী হলেন, তখন আমি দেখেছিলাম তাঁকে। সেই দৃশ্য এখনো চোখে লেগে আছে। সুন্দর মানুষ। ছয় ফুট লম্বা। সাদা পাঞ্জাবি, সাদা পায়জামা গায়ে। সদরঘাটের মল্লিক লাইব্রেরির সামনে এসে গাড়ি থেকে নামলেShamsuzzaman-(3)ন। ড্রাইভার বলল, ‘স্যার, গাড়ি কি সামনে নিয়ে যাব?’ তিনি বললেন, ‘না, আমার গাড়ি লাগবে না, কোনো সিকিউরিটিও লাগবে না, আমি হেঁটেই যাব।’ সিমসন রোডে একটা হলুদ বাড়িতে আওয়ামী লীগের অফিস ছিল তখন। সদরঘাটে যেতে ডানদিকে পড়ত। তিনি সেখানে গেলেন হেঁটে হেঁটে। তখন তাকে আমি প্রথম দেখি।

তার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ভর্তি হই, তখন তো মার্শাল ল, রাজনীতি করা প্রায় নিষিদ্ধ। ঢাকা হলে থাকতাম আমি। ঢাকা হল ছিল তখন একমাত্র কসমোপলিটন হল। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান যে কেউ থাকতে পারত। অন্যগুলো ছিল মুসলিম বা হিন্দু ছাত্রদের জন্য। আমি যেহেতু সেক্যুলার হওয়ার চেষ্টা করেছি, সে জন্যই আমি ওখানে থেকেছি।

সেক্যুলার হওয়ার চিন্তাটা মাথায় এলো কীভাবে?

শামসুজ্জামান খান : স্কুলজীবন থেকেই এটার প্রভাব পড়েছিল আমার ওপর। খলিলুর রহমান স্যার যেহেতু কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য, তাঁর একটা প্রভাব ছিল। সমাজবিজ্ঞান পড়ার চেষ্টা করেছি তখন। ছোটদের রাজনীতি, ছোটদের অর্থনীতি এসব বই পড়েছি। সে কারণেই ঝোঁকটা ওদিকে চলে গেল। যদিও আমার মা ও নানি খুবই ধার্মিক ছিলেন, রোজা-নামাজ ইত্যাদি ধর্মীয় সব অনুষ্ঠান নিয়মিত করতেন। কিন্তু তাঁরা আমার ওপর কোনো ধর্মীয় কট্টর বিধিনিষেধ চাপিয়ে দেননি। আমার নানা প্রফুল্ল চন্দ্রের স্নেহভাজন ছিলেন বলে তাঁর প্রভাব নানার ওপর পড়েছিল। তিনি অনেক মানবিক ছিলেন, দৃষ্টিভঙ্গি ছিল অসাম্প্রদায়িক। তাঁর প্রভাব আমার মা-নানির ওপরও পড়েছিল বলে আমি অসাম্প্রদায়িক চেতনার ভেতর দিয়ে গড়ে উঠতে পেরেছি।

৬৯-এর গণআন্দোলনের সময় আপনি কোথায়?

শামসুজ্জামান খান : আমি তখন ময়মনসিংহ এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটিতে।

আপনি তো তৎকালীন জগন্নাথ কলেজে ছিলেন, ময়মনসিংহ কেন গেলেন?

শামসুজ্জামান খান : আমি যখন  তৎকালীন জগন্নাথ কলেজে ছিলাম তখন মোনায়েম খান গভর্নর। একদিকে তার নির্বাচন চলছে, অন্যদিকে স্বৈরাচারবিরোধী, সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন সোচ্চার হয়ে উঠেছে।  তখন খুবই অ্যাগ্রেসিভ হয়ে গেলেন মোনায়েম খান। তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের অধ্যাপক অজিত কুমার গুহকে ওখান থেকে সরানোর চেষ্টা করলেন তিনি। কারণ জগন্নাথ কলেজ ছিল আন্দোলনের আখড়া, ছয় দফার আখড়া ইত্যাদি। যখন দেখলাম, অজিত গুহকে নিয়ে এ রকম একটা ষড়যন্ত্র বা চেষ্টা চলছে তখন ভাবলাম, আমাদের এখানে থেকে আর লাভ নেই। এমনিতেই আমরা সরকারবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। তা ছাড়া কলেজটি তখন বেসরকারি। সরকার এই কলেজকে সরকারি করবে বলে শুনছি। আমি আবার বদলির চাকরি করতে চাই না। তখন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখলাম, পূর্ব পাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ময়মনসিংহ) বাংলা বিভাগে সিনিয়র লেকচারার নিয়োগ দেওয়া হবে। ওখানে তখন লেকচারার ছিলেন গোলাম মুরশিদ। ১৯৬৮ সালে আমি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে গেলাম লেকচারার হিসেবে। গোলাম মুরশিদ চলে গেলেন রাজশাহী ইউনিভার্সিটিতে। ততদিনে গণআন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। ওখানে মোটামুটি সুবিধাজনক একটা অবস্থানে থাকলাম আমি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের অনেক স্বাধীনতা রয়েছে। রাজনৈতিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে পারে তারা। তাই সেখানে আমরা সভা-সমিতি করলাম। প্রেসক্লাবে আমাদের নিয়মিত মিটিং হয়। আমরা ‘বুদ্ধিজীবী সংগ্রাম শিবির’ গঠন করলাম। এই কমিটিতে ময়মনসিংহের বিখ্যাত পণ্ডিত অধ্যাপক গোলাম সামদানি কোরাইশি, অধ্যাপক যতীন সরকার, আমি, রিয়াজুল ইসলামসহ একঝাঁক তরুণ রয়েছি। যতটা সম্ভব আন্দোলন করছি আমরা। ধারাবাহিকভাবে আমাদের আন্দোলন চলতে থাকল। ২৫ মার্চের বিকেল বেলা আমরা ইউনিভার্সিটিসংলগ্ন ছত্রপুর এলাকায় একটা মিটিং করলাম। মিটিংয়ে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে বক্তৃতা দিলাম সবাই।

২৬ মার্চ সকাল বেলার কথা। ছুটির দিন ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর সবাইকে ডেকে পাঠালেন টিচার্স ক্লাবে। তিনি জানালেন, ঢাকায় ক্র্যাকডাউন হয়েছে, বিপুলসংখ্যক লোককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রচণ্ড গোলাগুলি হয়েছে।

তথ্যসূত্র: এনটিভি

প্রতিক্ষণ/এডি/জহির

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G